ঢাকাবুধবার, ২৮ মে ২০২৫, ১৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

জোহা দিবসকে জাতীয় শিক্ষক দিবস ঘোষণার দাবি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

বুধবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ , ০৬:১০ পিএম


loading/img
ছবি আরটিভি নিউজ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) শহীদ ড. শামসুজ্জোহার মৃত্যু দিবসকে জাতীয় শিক্ষক দিবস হিসেবে ঘোষণার দাবি জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

আজ বুধবার বেলা ১১টায় রাবি সাংবাদিক সমিতির (রাবিসাস) আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার জগদীশচন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনে 'ড. জোহা : ছাত্র-শিক্ষক সম্প্রতি' শীর্ষক আলোচনা সভা থেকে এই দাবি জানানো হয়।

সভায় ড. জোহার অবদানকে স্মরণ করে তার মৃত্যু দিবসকে শিক্ষক দিবস হিসেবে জাতীয়করণ করতে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আলোচকরা।

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানে ১৯৬৯ সালের ছাত্র আন্দোলনের তৎকালীন ছাত্রনেতা এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন প্রামাণিক বলেন, ১৯৬৯ সালটি ছিল যুগান্তকারী একটি সময়। যখন ছাত্রদের দাবির স্বপক্ষে তৎকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. শামসুজ্জোহা শিক্ষার্থীদের জীবন বাঁচাতে বন্দুকের নলের ডগায় দাঁড়িয়েছিলেন। ছাত্রদের দাবি অক্ষুণ্ন রাখতে নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছিলেন।

তিনি বলেন, ছাত্র-শিক্ষকের সম্পর্ক বাবা-ছেলের ন্যায়। বাবা-ছেলের রক্ত যখন একসঙ্গে বয় তখন সেখানে বিদ্রোহ শুরু হয়। ঠিক এমটিই সেদিন ঘটেছিল। পিতা-পুত্রেই সেই রক্তের ধারা গোটা পৃথিবীকে বিস্ফোরিত করেছিল। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য আজ ড. জোহাকে আমরা তার মর্জাদাটুকু দিতে পারিনি। আজও জোহার মৃত্যুদিবস শিক্ষক দিবস হিসেবে শুধু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়েই পালিত হয়। আমরা এই দিবসকে জাতীয় শিক্ষক দিবস হিসেবে জাতীয়করণ করার দাবি জানাচ্ছি।

রাবিসাস'র সাবেক সভাপতি আহমদ সফি উদ্দিন আরটিভি নিউজকে বলেন, ১৯৬৯ সালে ড. জোহা ছাত্রদের জন্য যেমন আত্মোৎসর্গ করেছেন তেমনি ছাত্ররাও প্রিয় শিক্ষকের হত্যার প্রতিবাদ করতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন। ছাত্র ও শিক্ষকের এই যে সম্প্রতির বন্ধনের দৃষ্টান্ত সে হিসেবে আমরা জোহা স্যারের মৃত্যু দিবসকে জাতীয় শিক্ষক দিবস ঘোষণার দাবি জানিয়ে আসছি তা আসলে হওয়া উচিত 'ছাত্র-শিক্ষক সম্প্রতি দিবস'। এই দৃষ্টান্তকে মনে-প্রাণে গ্রহণ করতে পারলে বর্তমান সময়ে ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্কে যে প্রাচীর তা ভেঙ্গে ফেলা সম্ভব হবে।

বিজ্ঞাপন
Advertisement

সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, জোহা স্যারের অবদানের কথা আমরা সবাই জানি। তার মতো দায়িত্ববান প্রক্টর ইতিহাসে আর আসবে কিনা জানি না। তিনি ছিলেন শিক্ষার্থীবান্ধব, শিক্ষার্থীদের দাবি আদায়ে বদ্ধপরিকর। ছাত্রদের জীবন বাঁচাতে তিনি নিজের জীবনকেও উৎসর্গ করতে দ্বিধা করেননি। আমরা তার অবদানকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি।’

রাবি সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান খান এবং সদস্য রাজিয়া সুলতানা পারুলের যৌথ সঞ্চালায় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন রাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আশরাফুল ইসলাম খান, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মামুন আব্দুল কাইউম, রাজশাহী সাংবাদিক সমিতির সভাপতি রফিকুল ইসলাম, রাবিসাসের সাবেক সভাপতি মুস্তাফিজ রনি, রাবি ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান মিশুসহ রাবিসাসের সাবেক ও বর্তমান নেতাকর্মীরা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রাবিসাসের সভাপতি শাহীন আলম। অনুষ্ঠানে সার্বিক সহযোগিতায় ছিল 'হ্যালো রাজশাহী ম্যাংগো'।

জেবি

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন
Advertisement
Advertisement


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |